মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করলেন বিএনপি নেতার ছেলে

জুমবাংলা ডেস্ক : এবার বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুর রশিদকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করেছে বিএনপি নেতার ছেলে শাওন মোল্লা। আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, শাওন মোল্লার বাবাসহ একাধিক বিএনপি নেতাকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেয়া এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। শাওন মোল্লা বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লার ছেলে। লাঞ্ছিত করার ভিডিওটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এদিকে ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আব্দুর রশিদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় শাওন মোল্লার। এসময় আব্দুর রশিদ নিজেকে হাজি মানুষ এবং তিনি কখনো আওয়ামী লীগের মিছিলে ছিলেন না বলে দাবি করেন। ওই সময় শাওন মোল্লা তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তুমিতো ২ নম্বর কালা রশিদ ওরফে চোরা রশিদ, ওরফে ডাকাত রশিদ। আবার নিজেকে হাজী দাবি করো।

শাওনকে আরও বলতে দেখা যায়, শম্ভু বাবুর (বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু) আমলে যা করছেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার না হয়েও কমান্ডার পরিচয় দিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা পল্লীতে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসিত করেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে অর্থ লোপাট করেছেন। এরপর ছাত্রদের আন্দোলন প্রতিহত করতে চেয়েছেন। পরে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।

এ বিষয়ে শাওন মোল্লা বলেন, রশিদ শেখ হাসিনা সরকারের আমলে অর্থের বিনিময় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা অন্তর্ভুক্তি, ভাতা বাণিজ্য, সুবিধা না দিলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে পুনর্বাসনের নামে অর্থ লোপাট, জমি দখল, বরগুনা ডায়াবেটিক সমিতিকে একক আধিপত্যে কুক্ষিগত করে রাখা, সমবায় ব্যাংক এবং ইউনিয়ন মাল্টি পারপাস সমিতিকে নিজ দখলে রাখা, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে একাধিক সরকারি কর্মকর্তা হেনস্থা করাসহ আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার নিজের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়েও রয়েছে নানা বিতর্ক।

এদিকে শাওন আরও বলেন, রশিদ আমার বাবা মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা, সোহরাব হোসেন বাচ্চু মোল্লা এবং বিএনপি নেতা এজেডএম সালেহ ফারুকসহ প্রকৃত একাধিক মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যায়ভাবে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ বলেন, আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি এবং আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে পরিবারের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিবো। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সবগুলো মিথ্যা।