বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ককে পে*টাল অন্য পক্ষ

বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রেজাউল করিমসহ চারজনের ওপর হামলার পর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন একজন।

বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রেজাউল করিমসহ চারজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠেছে আরেক সমন্বয়ক মীর নীলয় গ্রুপের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার রাতে পৌর শহরের কাঠপট্টি এলাকায় এই হামলা হয়। এ ঘটনায় বরগুনা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের প্রতিনিধি বরগুনায় সফর করার কথা ছিল। তাই এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল রাতে বরগুনার সমন্বয়ক রেজাউল করিমের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) সঙ্গে আলোচনা করতে যায়।

এর কিছুক্ষণ পর মীর নীলয় ও মুহিত নীলয়ের নেতৃত্বে অপর একটি গ্রুপ সেখানে যায়। তখনই ইউএনওর সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে তর্ক–বিতর্ক হয়।

এর এক পর্যায়ে মীর নীলয় ও মুহিত নিলয়ের গ্রুপ বের হয়ে পৌরসহরের কাঠপট্টি এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে রেজাউল করিমের গ্রুপ কাঠপট্টি আসলে তাদের ওপর হামলা চালায় নীলয়ের গ্রুপ। এই হামলায় সমন্বয়ক রেজাউল করিমসহ চার জন আহত হয়।

পরে ওই রাতে সদর থানা পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। আহত সমন্বয়ক রেজাউল করিম ও আহত আরিফকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। বাকি দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে সমন্বয়ক রেজাউল করিম বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে পড়ে কিছু ছাত্রলীগ কর্মী। ছাত্রলীগ কর্মী মীর নিলয়, মুহিত নিলয়, সাজিদ, মাহিদ ও মুভিনসহ আরও অনেকে গতরাতে আমার ওপর হকিস্টিক নিয়ে অতর্কিত হামলা করেছে। এতে আমিসহ চারজন আহত হয়। এ ঘটনায় আহত আরিফ বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।’

হামলার বিষয়টি মীর নীলয় ও মুহিত নীলয় অস্বীকার করে বলেন, ‘মারধরের বা হামলার কোনো প্রমাণ থাকলে ওদের দেখাতে বলেন।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘গতরাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। দুজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আরও দুজন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছে। এ ঘটনায় আহত আরিফ থানা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’