
মাত্র ৩৪ হাজার জনসংখ্যার দেশ স্যান ম্যারিনোর হয়ে অলিম্পিকে পদক জিতে ইতিহাস গড়লেন আলেসান্দ্রা পেরিল্লি। বৃহস্পতিবার নারীদের শুটিংয়ের ট্র্যাপে ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি। ফাইনালে ৫০টি শটের ২৯টিতে লক্ষ্যভেদ করে অলিম্পিক ইতিহাসে পদক জেতা জনসংখ্যার ভিত্তিতে ক্ষুদ্রতম দেশ বা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হওয়ার নতুন কীর্তি গড়ল স্যান ম্যারিনো।
এর আগে ৪৫ বছর ধরে নিজেদের দখলে রেখেছিল বারমুডা। ৩৩ বছর বয়সী পেরিল্লির ব্রোঞ্জ জয়ের মাধ্যমে অবসান হয়েছে ইউরোপের দেশ স্যান ম্যারিনোর ৬১ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার। ১৯৬০ সাল থেকে অলিম্পিকে অংশ নিলেও এতদিন পদকের ঝুলি শূন্য ছিল তাদের।
গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন, দুই অলিম্পিক মিলিয়েই স্যান ম্যারিনো এখন পদক জেতা ক্ষুদ্রতম দেশ। ১৯৭৬ সালের মন্ট্রিল অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন বারমুডার বক্সার ক্লারেন্স হিল। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত স্বায়ত্তশাসিত ব্রিটিশ সামুদ্রিক অঞ্চলটির জনসংখ্যা সেসময় ছিল প্রায় ৫৪ হাজার (বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজার)।
প্রায় ৩৮ হাজার জনসংখ্যার লিচেনস্টেইন শীতকালীন অলিম্পিকে জিতেছে দশটি পদক। তবে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে এখনও কোনো পদক পায়নি মধ্য ইউরোপের দেশটি। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে স্যান ম্যারিনোকে পদক জেতানোর খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন পেরিল্লি।
শুটিংয়ের ট্র্যাপের ফাইনালে অনেক আশা জাগিয়েও শেষ মুহূর্তের ছন্দপতনে হয়েছিলেন চতুর্থ। নয় বছর পর সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, মেয়েদের ট্র্যাপের বাছাইপর্বেই তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন রেহাক স্তেফেচকোভা।
একটি শটেও ব্যর্থ না হয়ে গড়েছিলেন বিশ্ব রেকর্ড। স্লোভাকিয়ার এই শুটার ফাইনালেও ছন্দ ধরে রেখে জিতেছেন প্রত্যাশিত সোনা। ৫০টি শটের ৪৩টিতেই লক্ষ্যভেদ করেছেন তিনি, যা শুটিংয়ের নতুন এই সংস্করণের ফাইনালে অলিম্পিক রেকর্ড। যুক্তরাষ্ট্রের কাইলি ব্রাউনিং ৪২টি লক্ষ্যভেদ করে পেয়েছেন রুপা।
Leave a Reply