সাকিব-তামিমের দ্বন্দ্ব মেটানোর চেষ্টা করেও পারেননি পাপন!

তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসানের বন্ধুত্ব আর আগের মতো নেই সেই কথা বেশ লম্বা সময় ধরেই ভেসে বেড়াচ্ছে ক্রিকেটপাড়ায়। তবে, ঘটনার সত্যতা কতটুকু তা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কখনোই কিছু বলেননি দুজনের কেউই, এমনকি ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও। সেকারণেই অনেকের কাছেই সাকিব-তামিমের বন্ধুত্বে ফাটলের গল্পটা এতদিন ছিল শুধুই গুজব।


অবশেষে, ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করার মতো তথ্য মেলেছে। সাকিব-তামিমের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন স্বয়ং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, “সাকিব তামিমের দ্বন্দ্বের ব্যাপার আমি জানি এবং ওদের সাথে আলাদা কথা বলে সমাধানের চেষ্টাও করেছি। পরে মনে হয়েছে, এখন সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব না।

আমি ওদের বলে দিয়েছি, কি চলছে সেটা তোমাদের ব্যাপার। তবে যে ম্যাচ বা সিরিজে দুজন একসাথে খেলবে, সেখানে যেন এই সমস্যা প্রভাব না ফেলে। ওরা আশ্বাস দিয়েছে, খেলার মাঠে ওদের সম্পর্কের প্রভাব পড়বে না।”– ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাজমুল হাসান পাপন

সাকিব আর তামিমের মধ্যকার সমস্যা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে ড্রেসিংরুমে, ক্রিকেটাররা বিভক্ত দুই সিনিয়রের শিবিরে। কেউ সাকিব ভাইয়ের দলে, কেউ তামিমকে ওস্তাদ মানেন। বিসিবি সভাপতি পুরো ব্যাপারটা জানেন এবং জানার কারণেই তিনি শঙ্কিত, “ড্রেসিংরুমের গ্রুপিংটাই এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা।

অন্য কিছু নিয়ে আমার সমস্যা নেই কিন্তু এই গ্রুপিং নিয়ে ভয়ে আছি! এই অবস্থার কথা, কয়েক মাস আগেই জেনেছি। বিশ্বকাপে ওদের হোটেলে ছিলাম না, তারপরও যেসব কথা শুনেছি- জেনেছি, সেগুলো বিশ্বাস করাও কষ্টের। কিভাবে সম্ভব, এটা ভেবেই বিস্মিত হয়েছি! ভবিষ্যতে ভালো চাইলে সবারই বোঝা উচিৎ, এগুলো বন্ধ করতে হবে।



এমনকি বোর্ড সভাপতি জানিয়েছেন সাকিব-তামিমের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কথা খুব ভালোই জানতেন সাবেক হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তিনি নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেও পারেননি দুজনের সম্পর্কটাকে স্বাভাবিক করতে। জানা গেছে, সব জেনেই দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ হয়ে এসেছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তার সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দুই সিনিয়রকে এক করে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। পারবেন তো?

Sharing is caring!