
এবার ন্যাটো সম্মেলন উপলক্ষে গতকাল বুধবার ব্রাসেলসে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সম্মেলনেই কারা আমাদের বন্ধু, কারা সহযোগী এবং কারা আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তা বুঝতে পারা যাবে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলনস্কি।
গতকাল বুধবার এক ভিডিও বার্তায়, এই যুদ্ধকে ইউক্রেনের জনগণের জন্য হৃদয়বিদারক বলে উল্লেখ করেন তিনি এসম কথা বলেন। তিনি জানান, আমরা ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জি-৭ এর পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ আশা করছি। আমরা জানি যে রাশিয়ানরা এরই মধ্যে তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিভিন্ন পক্ষের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে।
তিনটি সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে আমরা আমাদের দৃঢ় অবস্থান উপস্থাপন করবো। এদিকে রাশিয়া তার অর্থনৈতিক শক্তি প্রয়োগ করে ইউক্রেনের মিত্রদের যুদ্ধে সহায়তা করা থেকে বিরত রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বুধবার রাতে ওই ভিডিও বার্তায় তিনি দাবি করেন রাশিয়া তার মিত্র দেশগুলির সহায়তায় নিজ স্বার্থ উদ্ধারে কাজ করছে।এদিকে ন্যাটো নেতারা রাশিয়ান আক্রমণ থামাতে পূর্ব ইউরোপে আরও বাহিনী মোতায়েন করতে সম্মত হবেন বলে আশাপ্রকাশ করেছেন ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ।
জেলেনস্কির সাথে ফোনালাপের পর, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আজ বৃহস্পতিবার ইউক্রেনকে ৬ হাজার মিসাইল দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর আগে, সুইডেন ইউক্রেনকে ৫ হাজার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল দেবার ঘোষণা দেয়। গতকাল বুধবার রাশিয়ান গণমাধ্যম আর টি সূত্র জানায় পুতিন বন্ধুসুলভ নয় এমন দেশগুলির কাছে রুবলে গ্যাস বিক্রির নির্দেশ দিয়েছেন।
Leave a Reply