
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের না থাকা সবাইকে যতটা না অবাক করেছে, তার চেয়েও বেশি অবাক করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর নাম। ধারাবাহিক বাজে পারফরম করে যাওয়া এই ব্যাটারকে কেন বিশ্বকাপ দলে নেওয়া হলো- তার ব্যখ্যাও পাওয়া গেছে। নির্বাচকদের মতে শান্ত ‘ব্যাকআপ ওপেনার’, আর টেকনিক্যাল ডিরেক্টেরের কাছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’।
দল ঘোষণার পর শ্রীরাম বলেছিলেন, ‘আমি যেটা খুঁজছি, সেটা হলো ইমপ্যাক্ট।আমি এখন পারফরম্যান্স খুঁজছি না। বাংলাদেশ যেমন দল, তাতে ৭-৮ জন ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারলেও জিতে যাবে…। আমি মনে করি শান্ত অনেক ভালো খেলোয়াড়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রয়োজনীয় টেম্পারমেন্ট ওর আছে। আমার মনে হয়, আমরা যে ইমপ্যাক্ট খুঁজছি সেটি ওর মধ্যে আছে।
সেই শান্তকে আরব আমিরাত সিরিজে সুযোগ দেওয়া হয়নি। এরপর চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচেও সুযোগ পাননি। আজ রবিবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ওপেন করেছেন সাব্বির রহমানের জায়গায়। সাব্বির গত চার ইনিংসে করেছেন মোটে ৩১ রান। আজ ২৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে করেছেন ৩৩ রান করে নিজেকে ‘যোগ্যতম’ প্রমাণ করলেন শান্ত। তিনিই আজ দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। যদিও স্ট্রাইকরেট মাত্র ১১৩.৭৯।
এই অকার্যকর ইনিংস খেলে শান্ত যে বিশ্বকাপে স্থায়ী ওপেনার হয়ে গেলেন- সেটা অনুমান করাই যায়। টেকনিক্যাল ডিরেক্টের শ্রীরাম এতে সন্তুষ্ট হবেন কিনা- সময়মতোই জানা যাবে। তবে তার ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ শান্ত আজ রান পেলেও ম্যাচে যে কোনো ‘ইমপ্যাক্ট’ ফেলতে পারেননি, সেটা বলাই বাহুল্য।
বিশাল ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও শম্বুকগতির ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে বাংলাদেশ করেছে ১৩৭ রান। ১৯তম ওভারে নুরুল হাসান সোহান দুই ছক্কায় ১৮ রান না নিলে সেটাও হতো না। নিউজিল্যান্ড এখন বড় ব্যবধানে জয়ের পথে।