‘রহস্যময়ী নারী’র একের পর এক মামলা, ফাঁসছে নিরপরাধ মানুষ!
ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফেরেন ড. নুরুল ইসলাম শেখ। এরপর প্র’তা’রণার শি’কার হন রহস্যময়ী এ নারীর। সম্প্রতি ধ.র্ষ”ণ মা’ম’লায় আটদিন জেলও খে’টেছেন তিনি। আরো দুই ভুয়া মা’মলা নিয়ে সকাল-সন্ধ্যা ছুটছেন গাজীপুরের কোর্টপাড়ায়।কখনো রাবেয়া আবার কখনো পারভীন, বিথী। ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে একের পর এক ভুয়া মা’ম’লা দিয়ে ড’ক্টরেট ডিগ্রিধারী এ ব্যক্তিকে হয়’রা’নি করছে কথিত অ’ভিযোগ’কারী।
মা’ম’লার এজা’হার সূত্রে জানা গেছে, নুরুল ইসলামের মালিকানাধীন বাংলাদেশ নরওয়ে ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল অ্যান্ড ডা’য়াগন’স্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ধ.র্ষ”ণে”র শি’কার হন ক’থিত সাথী। এর কিছুদিন পর পরীক্ষার রি’পোর্ট দেয়ার কথা বলে বাগানবাড়িতে ধ.র্ষ”ণে”র না’টক সাজিয়ে দেয়া হয় আ’রেক মা’মলা। যেখানে ড. নুরুল ইসলামকে দেখানো হয় ডাক্তার হিসেবে। এখানেই শেষ নয়; ভুয়া নিকা’হনামা তৈরি করে ঘা’ড়ে চা’পানো হয় আরো একটি যৌ’তু’ক মা’মলা।
ভুক্তভোগী ড. নুরুল ইসলাম শেখ বলেন, পুলিশ বিন্দুমাত্র ত’দন্ত না করে, কোনো প্র’কার সত্যতা ছাড়া মা’ম’লাটি নেয়। বিনা কারণে আমাকে আ’টদিন জেল খা’টতে হয়েছে। সরকারের কাছে আমার দাবি, কোনো মা’ম’লার ক্ষেত্রে যেন ত’দন্ত ছাড়া রে’কর্ড করা না হয়।মা’ম’লা নেয়ার আগে প্রাথমিক ত’দন্ত কেন করা হচ্ছে না- জবাবে গাজীপুরের এসপি শামসুন্নাহার বলেন, তাৎক্ষণিক মা’ম’লা নেয়ায় এমনটা হয়েছে।
তিনি বলেন, ত’দন্তকারী কর্মকর্তার কোনো গা’ফিল’তি ছিল কিনা তা আমরা খ’তিয়ে দেখছি। তদ’ন্তে গা’ফিলতি থাকলে তার বি’রুদ্ধে ব্যব’স্থা নেয়া হবে।এদিকে, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনও (পিবিআই) কথিত ওই নারীর খোঁজ পাচ্ছে না।জেলা পিবিআইয়ের এসপি মোহাম্মদ মাকসুদের রহমান বলেন, অ’ভিযোগকা’রী নারীকে তদ’ন্তের স্বার্থে বারবার তল’ব করা হলেও তিনি আসেননি।
পরবর্তীতে তার দেয়া ঠিকানা অনুযায়ী খোঁজ নিয়েও সাথী আক্তার নামে কাউকে পাওয়া যায়নি।সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খোরশেদ আলম বলেন, যেকোনো মা’ম’লার এফ’আইআর রে’কর্ড করার আগে পু’লি’শকে বাদীর ব্যাপারে তদ’ন্ত করতে হবে। তাহলেই এ ধরনের হ’য়রানি’মূলক মা’ম’লা রোধ করা যাবে।