মারা গেছেন বিশ্বের নোংরাতম ব্যক্তি আমোউ হাজি

মারা গেছেন বিশ্বের ‘নোংরাতম’ ব্যক্তি। শুনে অবাক হলেন তো, হবারাই কথা। শুধুমাত্র নোংরা হবার কারণেই এই ব্যক্তি শিরোনাম হয়েছিলেন অনেক আগেই। বছরের পর বছর গোসল না করার কারণে এই খ্যাতি জুটে গিয়েছিলো তার। নাম আমোউ হাজি।

৯৪ বছরের এই ইরানি নাগরিক কিছু দিন আগে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। অর্ধ-শতকেরও বেশি সময় গোসল না করে নোংরা জীবন বেছে নেন তিনি। এ জন্য অবশ্য তার কোন আফসোস ছিলো না। তবে তাকে এড়িয়ে চলতো মানুষ।

ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় ফারস এলাকায় নিজের গ্রাম দেজগাহতে মারা যান চিরকুমার আমোউ। তার ভয় ছিলো গোসল করলেই অসুস্থ হয়ে পড়বেন তিনি। সেই আতঙ্ক থেকে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গোসলই করেননি তিনি।

তবে, জানা গেছে মারা যাবার কয়েক মাস আগে আমৌউ হাজিকে অনেকটা জোর করেই গোসল করিয়েছিলেন এলাকাবাসি। তারা বাথরুমে নিয়ে গোসল করান আমোউকে। এনিয়ে আমোউ বেশ রাগ করেছিলেনম কিন্তু শরীরের জোর না থাকায় পরিস্থিতি মেনে নিতে হয়েছিলো তাকে।

আমোউ ভালবাসতেন পাইপ টানতে। তবে সেখানে ভরা থাকতে পশুর বর্জ্য। তামাকের পরিবর্তে তার ধোঁয়াতেই সুখটান পেতেন এই বৃদ্ধ।

গোসল না করলেও প্রচুর পানি পান করতেন তিনি। একটা মরচে ধরা পাত্র থেকে সারাদিনে তিনি পাঁচ লিটার পানি খেতেন। চুলদাড়িও কাটতেন না তিনি।

খুব বড় হয়ে গেলে চুল পুড়িয়ে ফেলতেন। তাঁর প্রিয় খাবার ছিলো সজারুর পচা মাংস। ঠান্ডায় কষ্ট পেলে মাথায় পরে নিতেন পুরনো আমলের শিরস্ত্রাণ।

বেশিরভাগ দিন মাটির নীচে গর্তে ঘুমোতেন আমোউ হাজি৷ অনেক সময় খোলা আকাশের নীচে সবুজ মাঠেও শুয়ে পড়েতেন রাতে। বেখেয়ালী এই আচরণের জন্য পরিচিতও ছিলেন তিনি।

তাকে নিয়ে একটি ছোট তথ্যচিত্রও তৈরি হয়েছে৷ ‘’দ্য স্ট্রেঞ্জ লাইফ অব আমোউ হাজি’ নামে সেই তথ্যচিত্র মুক্তি পেয়েছিলো ২০১৩ সালে।

Sharing is caring!