মাদরাসার শিক্ষক এমন হবে কখনও ভাবিনি!
সাভারের আশুলিয়ায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে (১১) ব’লা’ৎ’কা’রের অ’ভিযোগে মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মাসুদুর রহমানকে (৩৪) আ’টক করেছে পু’লিশ। এ ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী মাদরাসাটির সামনে অবস্থান করছেন।
সোমবার রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার মধ্য চারাবাগ এলাকার মদিনাতুল উলুম হিফজুল কুরআন মডেল মাদরাসা থেকে তাকে আ’টক করা হয়। আট’ক মাসুদুর রহমান সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থা’না এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
তিনি মধ্য চারাবাগ এলাকার মদিনাতুল উলুম হিফজুল কুরআন মডেল মাদ’রাসায় প্রায় দুই বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ভুক্তভোগীর শিক্ষার্থীর মা বলেন, আমরা পোশাক কারখানায় চাকরি করি। তাই মাদরাসার আবাসিকে রেখে ছেলেকে লেখাপড়া করানোর সিদ্ধান্ত নেই।
দুই বছর ধরে আমার সন্তান এই মাদরাসায় লেখাপড়া করছিল। কিন্তু মাদরাসার শিক্ষক এমন হবে কখনও ভাবিনি। এ ধরনের শিক্ষকের জন্য সন্তানকে কেউ মাদরাসায় পড়াবে না। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ভুক্তভোগীর মায়ের বরা’ত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই মাদরাসার আবাসিকে রেখে পোশাক শ্রমিক নারী তার সন্তানকে লেখাপড়া করাচ্ছিলেন। প্রতি সপ্তাহের ন্যায় গতকাল ২১ ফেব্রুয়ারি ছেলেকে দেখতে যান ভুক্তভোগীর মা।
এ সময় শিশু শিক্ষার্থী কেঁদে কেঁদে তার মাকে মাদরাসায় পড়বে না বলে জানায়। পরে ঘটনা শুনে আজ থা’নায় অ’ভিযোগ দায়ের করলে ওই মাদরাসা থেকে অ’ভিযুক্ত শিক্ষককে আ’টক করে পু’লিশ।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থা’নার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আব্দুল জলিল বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মায়ের দায়ের করা অ’ভিযোগের ভিত্তিতে ওই মাদরাসা থেকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে আ’টক করা হয়েছে।