ভারত সফরে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আমন্ত্রণে রবিবার (৬ আগস্ট) নয়াদিল্লি সফরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকসহ পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।

জানা গেছে, তিন দিনের এই সফরে প্রতিনিধিদলটি ভারতের সরকার ও বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মিলিত হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের অন্যদের মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি জে পি নাড্ডাসহ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক হবে।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলে আরও রয়েছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান ও সংসদ সদস্য আরমা দত্ত।

আওয়ামী লীগ বলছে, বিজেপির আমন্ত্রণে এটি একটা সৌজন্য সফর। কিন্তু আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র পাঁচ মাসের মতো বাকি। এই সময়ে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলটির ভারত সফর এবং সেখানকার নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠকের অন্য গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা বলছেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারত আওয়ামী লীগ সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের তৎপরতা বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে ভারত এখনো প্রকাশ্যে ততটা তৎপর নয়। তবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে।

এই সফরে আগামী নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা, ভারতের মনোভাব এবং সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

আগামী মাসে ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশকে অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিজেপির আমন্ত্রণে এটি একটি সৌজন্য সফর। এই সফরে সরকারি ও রাজনৈতিক পর্যায়ে বেশ কিছু বৈঠক হবে। এতে পারস্পরিক চিন্তার বিনিময় হবে। রাজনৈতিক নানা বিষয় আলোচনায় আসবে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ২০ জুলাই প্রতিনিধিদলটির সফর হওয়ার কথা ছিল। পরে তা পিছিয়ে ২৯ জুলাই নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সময়সূচি ফাঁকা না পাওয়ায় সফর পুনরায় পেছানো হয় বলে জানা গেছে।