বাবার লাশের পাশে ৭ বছরের মেয়ের কান্না! (ভিডিও ভাইরাল)
করো’না উ’পসর্গ নিয়ে মা’রা যান মুজিবর রহমান (৪২)। হাসপাতালেই মরদেহের পাশে বসে কাঁদছিল তার ৭ বছরের মেয়ে মরিয়ম খাতুন। সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অসহায় ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে নওগাঁ জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ভিডিওটি জেলা প্রশাসকের নজরে এলে তিনি পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নে কলনীবাজার গ্রামে মৃ’ত মুজিবর রহমানের বাড়ি খুঁজে বের করেন।
পরিবারটিকে ১০ হাজার টাকা দেন তিনি। একটি মুদি দোকান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক। মৃ’ত মুজিবুর রহমানের স্ত্রী তানজিলা বেগম জানান, বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর ও শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন তার স্বামী। প্রথমে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন। এরপর পার্শ্ববর্তী একটি ক্লিনিকে এবং পরে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে তাকে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়।
সোমবার সকালে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পর ভর্তির আগেই মা’রা যান মুজিবর রহমান। তানজিলা বলেন, ‘তখন লা’শে’র পাশে আমার ৭ বছরের মেয়েকে রেখে অ্যা’ম্বুলেন্স ভাড়া করতে যাই। বাবাকে হারিয়ে লা’শে’র পাশেই বসে কান্না করছিল আমার ছোট মেয়ে মরিয়ম।’
ওই সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক লোক ঘটনাটি ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড় দেন বলে জানা গেছে। নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ভিডিওটি ফেসবুকে দেখার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হামিদ রেজাকে ওই ব্যক্তির বাড়ি খুঁজে বের করে পরিবারের খোঁজখবর নিতে বলি।
তার বাড়ি খুঁজে পাওয়ার পর দুপুরের দিকে তাৎক্ষণিক মৃ’ত ব্যক্তির স্ত্রী তানজিলার হাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তাকে একটি মুদি দোকানও করে দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক জানান, মুজিবুর রহমান ওই পরিবারের একমাত্র উর্পাজনকারী ছিলেন। পরিবারে তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে।