
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দীর্ঘ ফোনালাপ হয়েছে। শুক্রবার (১৮ মার্চ) সকালে এক ভিডিও কলে প্রায় দুই ঘণ্টা কথা বলেন এই দুই নেতা। এতে বাইডেনকে জিনপিং বলেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান সংঘাত ‘কারও স্বার্থেই হচ্ছে না’।
মস্কোর সঙ্গে বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে ওয়াশিংটনের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। নভেম্বরের পর এটিই চীন ও মার্কিন নেতার প্রথম ফোনালাপ। সিএনএন জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩ মিনিটে ফোনালাপ শুরু হয়। দীর্ঘ দুই ঘণ্টার এই আলাপ শেষ হয় ১০টা ৫৩ মিনিটে। খবরে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম সিসিটিভি জানায়, বাইডেনকে শি জিনপিং বলেছেন, ‘ইউক্রেনের ঘটনার সংঘাত ও লড়াই কারও স্বার্থের পক্ষে যায় না। রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক সংঘাত পর্যায়ে যাওয়া উচিত না।’ তিনি আরও বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সমান দায়িত্ব রয়েছে।
তার ভাষায়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে আমরা শুধুমাত্র চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কই এগিয়ে নিতে চাই না; সেই সঙ্গে বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠাও আমাদের আন্তর্জাতিক দায়িত্ব। ইউক্রেনের মতো সংকট আমরা আর দেখতে চাই না।’
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় নিন্দার পাশাপাশি রাশিয়ার ওপর একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো। তবে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত চীন এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ইউক্রেনে রুশ হামলা নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল চীন। বক্তব্যমূলক অবস্থানে মস্কোর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে বেইজিং।
যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, রাশিয়াকে সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করতে চায় চীন। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা সতর্ক করে বলেছেন, যদি ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণে চীনের সামরিক সহযোগিতার প্রমাণ থাকে তাহলে দেশটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কর্পোরেট নেতারাও ইউরোপীয় সরকারের সঙ্গে মিলে চীনে তাদের বাণিজ্য পর্যালোচনা করতে পারে।
Leave a Reply