পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক হলেন শহীদ আফ্রিদি

সাবেক তারকা অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) অন্তবর্তীকালিন প্রধান নির্বাচক হয়েছেন। শনিবার পিসিবি ম্যানেজমেন্ট কমিটি তাকে এই দায়িত্ব দেয়। নির্বাচক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- আব্দুল রাজ্জাক ও রাও ইফতিখার আনজুম। কনভেনর হিসেবে আছেন হারুন রশিদ।

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজে দল নির্বাচনের মধ্য নিয়ে নতুন নির্বাচক কমিটির কার্যক্রম শুরু হবে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি নাজাম শেঠি প্রধান নির্বাচক শহীদ আফ্রিদিসহ অন্যান্যদের স্বাগত জানিয়েছেন।

এদিকে এমন দায়িত্ব পেয়ে সম্মানিতবোধ করছেন আফ্রিদি, ‘আমি খুবই সম্মানিতবোধ করছি এমন দায়িত্ব পেয়ে। পিসিবি ম্যানেজমেন্টের দেওয়া এই দায়িত্ব পালন করতে আমি চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবো না। আমাদের আসলে জয়ের ধারায় ফিরতে হবে।

মেধাভিত্তিক ও কৌশলগত দিক বিবেচনা করে দল নির্বাচনের মাধ্যমে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ভালো করা সম্ভব এবং আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া সম্ভব, এ বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। শিগগিরই আমি নির্বাচকদের নিয়ে মিটিংয়ে বসবো। আসন্ন সিরিজ নিয়ে তাদের সঙ্গে আমার পরিকল্পনা ভাগাভাগি করবো।

নির্বাচক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠি বলেন, ‘আমি জাতীয় পুরুষ দলের অন্তর্বর্তীকালিন নির্বাচক কমিটিকে স্বাগত জানাই এবং কোন সন্দেহ নেই যে সীমিত সময় থাকা সত্ত্বেও, তারা সাহসী এবং কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেবে যা আমাদের নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষের সিরিজে একটি শক্তিশালী এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল তৈরি করতে সাহায্য করবে।’

শহীদ আফ্রিদির প্রশংসা করে পিসিবি প্রধান বলেন, ‘শহীদ আফ্রিদি একজন আক্রমণাত্মক ক্রিকেটার যিনি তার ক্যারিয়ারের সব ধরনের ক্রিকেট খেলেছেন কোন ডর-ভয় ছাড়াই। তার প্রায় ২০ বছরের ক্রিকেট অভিজ্ঞতা রয়েছে, সব ফরম্যাটে তিনি উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তিনি সর্বদা তরুণ ও প্রতিভাবানদের সাথে আছেন। সুতরাং, আমাদের সকলের মতে, আধুনিক দিনের ক্রিকেটের কঠোরতা, চাহিদা এবং চ্যালেঞ্জগুলি বোঝার জন্য তার চেয়ে ভালো আর কেউ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে খেলা সম্পর্কে তার অন্তর্দৃষ্টি এবং জ্ঞানের মাধ্যমে পাকিস্তানকে সেরা এবং সবচেয়ে যোগ্য খেলোয়াড় নির্বাচন করতে সাহায্য করবেন এবং আসন্ন সিরিজে দলের সাফল্যে অবদান রাখবেন।’

শহীদ আফ্রিদি ১৯৯৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ২৭টি টেস্ট, ৩৯৮টি ওয়ানডে এবং ৯৯টি টি-টোয়েন্টি খেলে মোট রান করেন ১১ হাজার ১৯৬টি। এবং উইকেট শিকার করেন ৫৪১টি। এছাড়া তিনি ৮৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করেছেন। ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী পাকিস্তান দলের সদস্য ছিলেন তিনি।

আব্দুল রাজ্জাক ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ৩৪৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ৭ হাজার ৪১৯ রান করেন এবং ৩৮৯টি উইকেট নেন। তিনিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন।

এদিকে রাও ইফতিখার ২০০৪ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত একটি টেস্ট, ৬২টি ওয়ানডে এবং দুটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন পাকিস্তানের হয়ে।

Sharing is caring!