
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার মূল লড়াইটা শুরু হয়েছে শেষ ষোলোর ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে স্কালোনির দল।
৩৬ বছরের বিশ্বকাপ ছোঁয়ার আক্ষেপ নিয়ে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) তারা নেদারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। চোটের শঙ্কায় থাকা তাদের মাঝমাঠের ভরসা ডি পলকে আজ মাঠে পাবে তো তারা?
নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে চিরচেনা সেই ডি পলকে যেনো খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে ফিরলেন পোল্যান্ডের সাথে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে। এরপর প্রমাণ করলেন শেষ ষোলোর ম্যাচেও, কেনো স্কালোনির মাঝমাঠের ভরসার নাম তিনি।
চোট শঙ্কায় ছিলেন এই আতলেতিকো মাদ্রিদের মিডফিল্ডার। অনুশীলনে সতীর্থদের সাথে ওয়ার্ম-আপ করলেও ম্যাচ খেলেননি ‘দি পল’। শোনা যাচ্ছিলো ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েছেন তিনি, এমনকি ছিটকে যেতে পারেন বিশ্বকাপ থেকেও।
তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। যেখানে সমর্থকদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘সবকিছু ঠিক আছে। নতুন একটি ফাইনালের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছি। চলো আর্জেন্টিনা, একসঙ্গে এগিয়ে যাই।’
এই আর্জেন্টাইন ফুটবলার ভক্তদের আশ্বস্ত করলেও, দুশ্চিন্তায় থাকতেই হচ্ছে সমর্থকদের। মেসিদের মাঝমাঠের ভরসা যে এই ফুটবলার। চলতি বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৪ দশমিক ০৮ কিলোমিটার দৌড়েছেন এই মিডফিল্ডার। তার গতিই যেনো স্কালোনির অন্যতম শক্তি।
চলতি আসরে আর্জেন্টিনার জার্সিতে যেই চারজন ফুটবলার সবথেকে বেশি সময় মাঠে ছিলেন, তার মধ্যে ‘দি পল’ একজন। শতভাগ ফিট না থাকলে যে তার থেকে ডি পলসুলভ পারফর্মেন্স পাওয়া যাবে না, সেটাও যে অনুমেয় সতীর্থ্য এবং ভক্তদের।
আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনি বলেছিলেন, শতভাগ ফিট ছাড়া কোনো খেলোয়াড়কে তিনি মাঠে নামাবেন না। সেক্ষেত্রে দি পলের স্থানে দেখা যেতে পারে লিয়ান্দ্রো পারদেসকে।
ফলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলা এনজো ফার্নান্দেজকে নিজের জায়গা ছাড়তে হবে। সাথে মিডফিল্ডে যোগ দিতে পারেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার।
তবে সব হিসাব ডাগ-আউটে রেখে, ডাচদের বিপক্ষে ‘দি পলকে’ একাদশে রেখেই, নিজেদের শিরোপা মিশনে সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করবেন লিওনেল স্কালোনি।