
শাহাদাত হোসেন দীপুর শতক ও এনামুল হক বিজয়ের অর্ধশতকে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আগে ব্যাট করে রকিবুল হাসানের শতক ও নাঈম ইসলামের অর্ধশতকে রূপগঞ্জ পায় ২৬৫ রান। জবাবে ১১ বল হাতে রেখে জয় পায় প্রাইম ব্যাংক।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হন রূপগঞ্জের দুই ওপেনার সাব্বির রহমান ও তানজিদ হাসান তামিম। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া সাব্বির ৩ বলে করেন ১ রান, বোল্ড হন রুবেল হোসেনের বলে। তরুণ ওপেনার তামিম ২৫ বল ৭ রান করেন। নিজের বলেই তামিমের ক্যাচ নেন নাহিদুল ইসলাম। তানবীর হায়দারকেও রুবেল বোল্ড করলে ২০ রানে ৩ উইকেট হারায় রূপগঞ্জ।
দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে ফেললেও রূপগঞ্জকে লুটিয়ে পড়তে দেননি রকিবুল ও নাঈম। তারা গড়েন ২০০ রানের বিশাল জুটি। শতকের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে আউট হন নাঈম। ১০৯ বলে ৯১ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল নয়টি চার ও চারটি ছক্কা। ২২০ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় রূপগঞ্জ।
শতক হাঁকিয়ে রকিবুল বিদায় নেন অলক কাপালির শিকার হয়ে। রকিবুলের ব্যাট থেকে আসে ১২৫ বলে ১২১ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে পাঁচটি উইকেট হারিয়ে রূপগঞ্জ সংগ্রহ করে ২৬৫ রান। জবাব দিতে নেমে প্রাইম ব্যাংককে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন বিজয় ও দীপু। উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেন ১২৪ রান। অর্ধশতক হাঁকিয়ে বিজয় বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। নাবিল সামাদের বলে স্টাম্পিং আউট হওয়ার আগে বিজয় করেন ৬৭ বলে ৫৩ রান।
তার ইনিংসে ছিল চারটি চার ও একটি ছক্কা। ২১ বলে ১১ রান করা অভিমন্যু ঈশ্বরনকেও বোল্ড করেন নাবিল। নাসির হোসেন (১৪) ও শামসুর রহমান শুভ (৭) দ্রুতই বিদায় নেন। শেখ মেহেদী হাসান ১৬ বলে ২৫ রানের ছোট ঝড় তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
নাহিদুল ইসলাম ৮ বলে ২২ রানের ক্যামিও দেখান। প্রাইম ব্যাংকের জয় নিশ্চিত করেন নাহিদুল ও দীপু। ১১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পায় প্রাঈম ব্যাংক। দীপু অপরাজিত থাকেন ১৩১ রানে। এই তরুণের ১৪৫ বলের ইনিংসে ছিল নয়টি চার ও একটি ছক্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ২৬৫/৫ (৫০ ওভার), রকিবুল ১২১, নাঈম ৯১, মাশরাফি ১৯; রুবেল ২/৫৮। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ২৬৯/৬ (৪৮.১ ওভার), দীপু ১৩১*, বিজয় ৫৩, মেহেদী ২৫, নাহিদুল ২২*; নাবিল ৩/৩৩, সঞ্জিত ২/৬৩। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৪ উইকেটে জয়ী।
Leave a Reply