দাফনের সময় খবর এলো জিপিএ-৫ পেয়েছে মামুন

চারদিকে যখন কাঙ্খিত ফলাফল পেয়ে বন্ধু-সহপাঠীদের মাঝে খুশির জোয়ার বইছে। তখন মামুনের বাড়িতে বইছে শোকের মাতম। চলছে মামুনকে শেষ বিদায়ের প্রস্তুতি। ততক্ষণে খুঁড়া হয়েছে কবর। এর কিছুসময় পর করা হয় কবরস্থ।

মর্মান্তিক এই ঘটনা রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার। দীর্ঘদিন ধরে রক্ত শূণ্যতায় ভুগার পর মামুন হাল ছেড়েছেন। পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সে।

দুই ভাইয়ের মধ্যে মামুন ছিলেন বড় সন্তান। মামুনের বাবা মোস্তফা জামান নিজেও একজন স্কুলশিক্ষক। মামুনকে হারিয়ে তার বাবা-মায়ের সব স্বপ্ন যেন আজ মলিন। সন্তান হারা পরিবারের কষ্ট আর আহাজারি কাঁদিয়েছে এলাকাবাসীকেও।

মামুনের বন্ধু ও সহপাঠী ইয়াসির আরাফাত কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানায় ‘মামুন আমার প্রিয় বন্ধু ছিল। ও খুবই ভালো ছেলে। রেজাল্টের দিন সে এভাবে হারিয়ে যাবে, এটা ভাবতে পারছি না। খুবই কষ্ট হচ্ছে। আল্লাহ পাক আমার বন্ধুকে ওপারে ভালো রাখুন।’

মামুনের বাবা মোস্তফা জামান জানান, ‘আমার দুই ছেলের মধ্যে মামুন বড়। তার লেখাপড়ার প্রতি খুব মনোযোগ ছিল। সে আমাদেরকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেল। আমার বাবা (মামুন) পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করছে। সে জানতে পারল না। এ শোক আমি কী করে সইবো? আমার বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন।