
মৌলভীবাজারের শ্রী’মঙ্গলে নিজ বা’ড়িতেই আছমা গড়ে তুলেছেন দে’হব্য’ব’সা ও মা’নবপা’চা’রের আ’স্তানা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নারীদের ধরে এনে জো’র করে প’তি’তাবৃ’ত্তিতে নামান আছমা (৪৫)।
তার এই প’তিতাপ’ল্লীর নারীদেরই শ্রীমঙ্গলসহ দেশের বিভিন্ন হোটেল-রিসো’র্টে ভাড়ায় পাঠানো হয়। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) অ’ভিযুক্ত না’রীকে আ’টক করেছে পু’লিশ।
শ্রীমঙ্গল থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে গোপন সংবাদ পেয়ে শ্রীম’ঙ্গল থানা পু’লিশ অ’ভিযান চা’লিয়ে শহরের গুহরোড এলাকা থেকে আছমাকে গ্রে’ফতার করে। তিনি নারীপা’চারকারী চ’ক্রের অন্যতম হোতা বলে দাবি করে পু’লিশ।
গ্রেফ’তারকৃত আছমা শহরতলীর সূরভীপাড়া এলাকার নূর মিয়ার স্ত্রী। শ্রীমঙ্গল থা’নার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী জানান, মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে প’তি’তাবৃ’ত্তির অ’ভিযোগে পু’লিশ শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকায় অব’স্থিত আছমার বাসায় অ’ভিযান চালায়।
এসময় সেখান থেকে দুই নারী ও দুই পুরুষ খ’দ্দে’রকে আ’টক করে। এর আগেই সেখান থেকে কৌ’শলে পা’লিয়ে যান আছমা। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে গ্রে’ফতা’রকৃত আসা’মিদের জি’জ্ঞাসাবাদে তারা একটি সংঘব’দ্ধ অপ’রাধচ’ক্র বলে স্বীকার করে।
আ’সা’মিরা ওই স্থানে টাকার বিনি’ময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের এনে প’তিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে পা’চার করে থাকে। গ্রে’ফ’তারকৃত আ’সামি’দের বি’রুদ্ধে মাম’লা করা হয়। এই মা’মলার সূত্র ধরেই বুধবার রাতে আছমা পু’লিশের জালে ধরা পড়ে।
শ্রীমঙ্গল শহরের বিরাহিমপুরের বাসিন্দা রুমান আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আছমা দীর্ঘদিন ধরে শ্রীমঙ্গলে প’তিতাবৃ’ত্তির ব্যবসা করে আসছে। এর আগে কয়েকবার পুলিশের হাতে আ’টক হলেও ছাড়া পেয়ে আবারো পুরোনো কাজে ফিরে আসেন এই নারী।
হাউজিং এস্টেট এলাকার বাসিন্দা বেলাল আহমেদ বলেন, আছমা তার বসতবাড়ি প’তিতাপল্লী বানিয়ে ফেলার পাশাপাশি বিভিন্ন আবাসিক হোটেল রি’সোর্টেও নারী সরবরাহ কাজে জড়িত।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস ছালেক বলেন, আছমা প’তিতাবৃ’ত্তির উদ্দেশ্যে নারীপাচা’রকারী চ’ক্রের হোতা। তিনিসহ সংঘ’বদ্ধচ’ক্রের বিরু’দ্ধে আই’নি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply