এমন হারের পর যা বললেন আজমত উল্লা

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের ফলাফল মেনে নিয়ে আজমত উল্লা খান প্রশ্ন তুলেছেন, অন্য কেউ পরাজিত হলে রায় মেনে নিতেন কি না?গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বৃহস্পতিবার বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। তার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান।

দেশের সবচেয়ে বড় এই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো পরাজিত হলেন আজমত উল্লা। ২০১৩ সালে গাজীপুর সিটির প্রথম নির্বাচনে তিনি বিএনপির নেতা এমএ মান্নানের কাছে হেরে গিয়েছিলেন।

ফলাফল ঘোষণার পর শুক্রবার এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আমি রায় মেনে নিয়েছি। অন্য কেউ পরাজিত হলে কি মেনে নিতো?’নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে- এমন মন্তব্য করে টঙ্গী পৌরসভার সাবেক এ মেয়র বলেন, ‘কিছু ত্রুটি ছিল। ইভিএমে অনেকে ভোট দিতে পারে নাই।’

প্রথমবারের মতো ইভিএমে কম সময়ে ভোট দিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন গাজীপুরের ভোটাররা। কিছু কিছু কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে অনেকের আঙ্গুলের ছাপ মিলতে দেরি হয়েছে। তবে নির্বাচনে কোনও সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।

নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কিছু কেন্দ্রে ইভিএম এর কারিগরি জটিলতার কারণে ভোট গ্রহণে দেরি হয়েছে। সেখানেও যদি কোন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে সেগুলো তদন্ত করে দেখা হবে।

ভোট গণনা শেষে জায়েদা খাতুনের কাছে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান আজমত উল্লা খান।

সাংবাদিকদের তিনির বলেন, ‘পরাজয়ের কারণ পর্যালোচনা করা হবে। কী কী কারণ ছিলো বিশ্লেষণের পর তা জানানো হবে। আর কেউ যদি সহযোগিতা চায়, তা অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *