
জাতীয় দলে ফের সুযোগ পেতে ঘরোয়া লিগে দুর্দান্ত খেলছেন এনামুল হক বিজয়। মাত্র ১৬ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি হলো না তার। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) রোববার সাভারের বিকেএসপিতে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ব্যাটে ঝড় তুলেন বিজয়।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে এসেই মারমুখী হন বিজয়। দলের সংগ্রহ ১৪০ ছুঁতেই সেঞ্চুরি পেয়ে যান তিনি। সেঞ্চুরি পেতে তিনি খরচ করেন ৭৬টি বল। বাউন্ডারি থেকেই আসে তার ৭৬ রান। সেঞ্চুরির পর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন বিজয়। ১২০ বলে ব্যক্তিগত ১৫০ রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন।
লিস্ট এ ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম দ্বিশতকের দিকে ছুটেছিলেন দ্রুতগতিতে। কিন্তু রেকর্ড গড়া হলো না তার। আসাদুজ্জামান পায়েলের করা খাটো লেন্থের বলটি নিচু হয়ে বিজয়ের প্যাডে লাগে। আবেদন তুললেই ফিল্ড আম্পায়ার আঙুল তুলে নেন। ‘প্লাম্ব’ এলবিডব্লিউ হয়ে ১৮৪ রানে থামে বিজয়ের ইনিংস।
১৪২ বলে ১৮ বাউন্ডারি আর ৮ ছক্কায় ১৮৪ রান করেছেন, যা তার লিস্ট এ ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। আক্ষেপে পুড়তেই পারেন ডানহাতি ব্যাটার বিজয়। ১৬ রান করে দ্বিশত পূরণের পর রেকর্ড ভাঙতে বিজয়ের দরকার ছিল আর মাত্র ৯ রান। কারণ লিস্ট ‘এ’তে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চের রেকর্ড জাতীয় দলের আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারের।
২০১৯ বিশ্বকাপের আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শেখ জামাল ধানমন্ডির দেওয়া ৩১৮ রানের লক্ষ্যে উদ্বোধনী জুটিতেই ৩১২ রান তুলেছিল আবাহনী।২০৮ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেন সৌম্য। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম কোনো ব্যাটারের দ্বিশতক ছিল সেটি। সৌম্যের সেই রেকর্ড ভাঙতে পারলেন না বিজয়। সেটিই একমাত্র হয়ে আছে বাংলাদেশের ইতিহাসে।
২০১৭ সালে রকিবুলের রেকর্ডটিও ভাঙতে পারেননি বিজয়। মোহামেডান ও আবাহনীর ম্যাচে রকিবুল করেন ১৯০ রান। রোববারের ম্যাচে বিজয়ের ১৮৪ রানের ইনিংসের কারণে শাইনপুকুরের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৮৮ রানের পাহাড় গড়েছে প্রাইম ব্যাংক।
Leave a Reply