অবসর নেওয়ার কারণ সম্পর্কে যা জানালেন তামিম

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে গত ৬ জুলাই অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশের জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল। এরপর যেন দেশের ক্রিকেটে ঝড় নেমে আসে। তবে সেই উথাল-পাথাল সমাধান হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে। পরদিন অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ান এই দেশসেরা ওপেনার। তবে ঠিক কি কারণে তামিম অবসর নিয়েছিলেন তা এখনো স্পষ্ট হয়নি। আপাতত দেড় মাসের ছুটিতে রয়েছেন টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক। তবে এবার তিনি তার অবসর কাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন।

দেশের একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারের তামিম জানিয়েছেন তার অবসর নেওয়ার প্রেক্ষাপট, সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও পরের নানা ঘটনা। দুবাইয়ে যাওয়ার আগে ওয়ানডে অধিনায়ক জানিয়েছেন তার অবসরের সময়টা অনেক কঠিন ছিল। তামিম বলেন, ‘এই কদিন খুব কঠিন সময় ছিল। খুবই কঠিন… এখনও আছে। আমার মনে হয় না, ওসব থেকে বের হতে পেরেছি এখনও। যা হয়েছে, সবকিছুই আমার জন্য কঠিন। ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম খেলাটাকে ভালোবেসে। পরে বাবার স্বপ্নপূরণের জন্য। তবে খেলার প্রতি ভালোবাসাটাই ছিল আসল ব্যাপার। সেই খেলাকে ছেড়ে দেওয়া ভীষণ কঠিন ছিল।’

ওয়ানডে অধিনায়ক আরো জানান, ‘সবকিছুর পরও, নিজেকে আমি এটাই বলছিলাম যে, অবসর নেওয়ার কারণ আছে। অনেক কারণ আছে। সেজন্যই নিয়েছিলাম। (বিদায় ঘোষণার) সংবাদ সম্মেলনে কিন্তু কারও দিকে আঙুল তুলিনি। আমার কাছে মনে হয়েছে, ১৬-১৭-১৮ বছরে যা খেলেছি, যা কিছু অর্জন করতে পেরেছি বা পারিনি, কারও দিকে আঙুল তোলার চেয়ে এই ক্যারিয়ার বড়। আঙুল তোলা এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আরেকটি ব্যাপার হলো, আমার সিদ্ধান্ত হুট করেই নেওয়া ছিল না। বেশ কিছু দিন ধরেই ভাবছিলাম। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি অন্তত তিন-চার দিন আগে এবং আমার মনে হয়েছে, দ্যাটস ইট। শেষ।

তামিম তার অবসরের ব্যাপারে আরো বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের সামনেই খোলামেলাভাবে বলতে চাই। কারণ, আমাদের এখানে বিস্ময়করভাবে কিছু অপেশাদার জিনিস চলে। পেশাদারিত্ব নিয়ে অনেক কথা হয় আমাদের দেশে, কিন্তু কিছুই গোপন থাকে না। একটা জায়গায় অন্তত সীমানা থাকা উচিত, যেটি ছাড়িয়ে কারও কথা বলা উচিত নয়। অতীতে এরকম হয়েছে যে, ব্যক্তিগত কিছু হয়তো বোর্ডের সঙ্গে শেয়ার করেছি, তা মিডিয়ায় চলে এসেছে। শুধু আমার ব্যাপারই নয়, অনেক কিছুই মিডিয়ায় চলে আসে। যা খুব ভালো কিছু নয়। সেটা শুধু আমাদের কথা নয়, বোর্ডের অনেক কিছুও। এতে দেখা যায়, ক্রিকেটাররা কিংবা বোর্ড অফিসিয়ালরা অস্বস্তিতে থাকে। মন খুলে কথা বললে টেনশনে থাকতে হয় যে, প্রকাশ হয়ে যেতে পারে।