
অতি আগ্রহের সাথে কিংবদন্তি ইউনিস খানের সাথে ২ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কিন্তু সেই চুক্তির মেয়াদ দীর্ঘ হয়নি। মাত্র ৭ মাসের মাথায় ব্যাটিং কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেন ইউনিস। যা নিয়ে জল্পনা কল্পবার শেষ নেই।
ইউনিস খানকে ছেঁটে ফেলার বিষয়ে তিনি নিজে কথা বলেছেন, কিন্তু এই কোচকে বাদ দেয়ার বিষয়ে কিছু জানাননি দলের হেড কোচ মিসবাহ উল হক থেকে শুরু করে স্বয়ং পিসিবিও। অবশেষে মুখ খুললেন মিসবাহ, কিন্তু হাড়ির খবর নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। মিসবাহ বলছেন, পিছনের গল্প ফেলে এখন সামনের দিকেই নজর তাদের।
অথচ সেই মিসবাহ’র পরামর্শেই ইউনিস খানকে দায়িত্ব দিয়েছিল পিসিবি। গণমাধ্যমে মিসবাহ বলেন, “আমি এই বিষয় নিয়ে কিছু বলতে চাই না। পুরো বিষয়টাই পিসিবি এবং ইউনিস খানের নিজের। আমাদের দলে যেটুকু পুঁজি রয়েছে, সেটা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
নিঃসন্দেহে ইউনিসের জন্য আমাদের প্লেয়াররা অনেক লাভবান হয়েছে। তবে ওকে ছাড়াই এখন আমাদের ভাবতে হবে। এর আগে ইউনিস খান অবশ্য জানিয়েছিলেন, তিনি তার নিজের সেরাটা দিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটের উন্নয়ন ঘটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পিসিবিই তাকে আর রাখতে চায়নি।
ইউনিস বলেন, “২০১৭ সালে, আমাকে ক্রিকেট বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান এই পাকিস্তানের ব্যাটিং কোচ হবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বহু লোক আমাকে এটি করার পরামর্শ দেওয়ার পরে আমি গত তিন বছর ধরে এই ভূমিকা নেওয়ার কথা ভেবেছি। তারপর ছয় থেকে সাত মাস আমি এই দায়িত্বে ছিলাম।
আমি পিসিবিকে সমর্থন দিতে গিয়েছিলাম, তবে তারা যদি আমার সমর্থন না নিতে চায় তবে আর আমি কী বলতে পারি? ইউনিস ২০২০ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব নেন। এবং ২০২১ সালে জুন মাসে মাত্র ৭ মাস দায়িত্ব শেষেই ইস্তফা দেন। খানের পরিবর্তে এখনো নতুন কোনো ব্যাটিং কোচ নিয়োগ দেয়নি দেশটির বোর্ড।
ফলে পাকিস্তানের আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজে ব্যাটিং গুরু ছাড়াই খেলতে হব। ২১ জুলাই থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর রয়েছে তাদের। সেখানে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি এবং দু’টি টেস্ট খেলবেন বাবর আজমরা। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগেই নতুন কাউকে ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে আশাবাদী পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
Leave a Reply