
করো’নাভাই’রাস ম’হামা’রিতে মৃ’ত ব্য’ক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। কিন্তু ম’হামা’রিতে মৃ’ত্যুর কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে বড় রকমের গরমিল সামনে এসেছে। করো’না ম’হামা’রি চলাকালে দেশটির অতিরিক্ত ৩ লাখ মানুষের মৃ’ত্যু হয়েছে যাদের মৃ’ত্যুর কারণ সরকারের হিসাবে ‘অ’জানা’ দেখানো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে করো’নায় কয়েক লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এর পাশাপাশি আরও তিন লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছে যাদের মৃ’ত্যু’র কারণ হিসেবে ‘জ্ব’র’ বা ‘অ’জ্ঞা’ত’ লেখা হয়েছে।
এ ছাড়া ‘শ্বাসকষ্ট’ নিয়েও মারা গেছেন অনেকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের হিসেবে এসব কারণই করো’নার উপ’সর্গ। কিন্তু এমন উপসর্গ নিয়ে মা’রা যাওয়া ব্যক্তিদের কোনো পরীক্ষা করা হয়নি। ওই তিন লাখ ব্যক্তির মৃ’ত্যু’র প্রকৃত কারণ অজানা, এ বিষয়ে সরকারের কাছে কোনো তথ্যও নেই।
২০১৩ সালে জাতীয় স্বাস্থ্য প্রকল্প (ন্যাশনাল হেলথ মিশন) শুরু করে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। প্রকল্পটির আওতায় হেলথ ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এইচএমআইএস) স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থায় সব ধরনের হিসাব রাখা হয়। এইচএমআইএসের হিসাব অনুযায়ী, মহামারির আগে ২০১৯ সালের মে মাসে যত মানুষ মা’রা গিয়েছিল, ২০২১ সালের মে মাসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে তার চেয়েও তিন লাখ বেশি মানুষ মা’রা গেছে।
এ ছাড়া চলতি বছরের মে মাসে এক লাখ ২০ হাজার ৭৭০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে একই মাসে তার আড়াই গুণ বেশি মানুষের মৃ’ত্যু হয়েছে যাদের মৃ’ত্যু’র কারণ অজ্ঞাত। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে প্রত্যেক মাসে ভারতে প্রতি মাসে গড়ে ২ লাখ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃ’ত্যু হয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে তা বেড়ে ৩ লাখ ১০ হাজারে পৌঁছায়। মে মাসে সেটি আরও বেড়ে হয় ৫ লাখ ১১ হাজারে পৌঁছায়।
এ বিষয়ে ছত্তীসগড়ের গ্রামীণ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা যোগেশ জৈন বলেন, ‘এসব মৃ’ত্যুকে কোভিডে মৃ’ত্যু হিসেবেই ধরা উচিত। মে মাসে যখন করোনায় গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় নিশ্চয়ই ম্যালেরিয়ায় এত লোকের মৃ’ত্যু হয়নি।’